আবোল-তাবোল

24 November, 2012

অনেকদিন ধরেই ব্লগে কিছু লিখছি না। আজ হঠাৎ ইচ্ছে হলো লিখতে। যা মাথায় আসছে তাই লিখছি। এর কোনটারই কোন মানে নেই। মাঝে মধ্যে এমন হাওয়াই মিঠাই টাইপ লেখা লিখতে ইচ্ছা করে। এ ধরনের লেখা পড়তেও মজা। পড়া শেষ, সেই সাথে এর আবেদনও শেষ। লেখার বিষয়গুলো মাথার মধ্যে কুট কুট করে না। আমার প্রিয় অনেক কবি সাহিত্যিকের লেখার মধ্যেই এ ঝামেলাটা আছে। এদের লেখা পড়ে শেষ করে ফেলার পরও অনেকক্ষন ধরে মাথার মধ্যে বাজতে থাকে।

এই দেশে যে আমরা এখনো বেঁচে আছি এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মিরাকল! প্রতিদিন অকারনে হাজার হাজার মানুষ মরছে। আশুলিয়ায় মারা গেল ১২৪ জন, চট্টগ্রামে মারা গেল প্রায় একশ, যদিও এসব নিয়ে পত্র-পত্রিকায় না না ধরনের বিভ্রান্তিকর লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। এই যে এত দূর্ঘটনা হচ্ছে তাতে আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। আমরা আমাদের আবেগ হারিয়ে ফেলছি। আগে এই বিষয়গুলো মনে খুব দাগ কাটত, এমন ছিটে ফোটা আচড়ও ফেলে না। আমরা বাঙ্গালিরা হচ্ছি গোল্ডফিসের মস্তিষ্কের অধিকারী। এই যে এত মানুষ মারা গেল, এ নিয়ে আমরা কিছুদিন খুব আলাপ-আলোচনা করবো, চায়ের কাপে ঝড় তুলবো, ব্লগ, ফেসবুক আর পত্রিকার পাতা হৃদয়স্পর্শী লেখার ভরিয়ে ফেলবো। টিভি চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন টকশো হবে, নানা জন নানা ধরনের পরামর্শ দেবেন। কিন্তু কয়েকদিন না যেতেই আমরা সবকিছু বেমালুম ভুলে যাবো। আবার এই ধরনের আরেকটি দূর্ঘটনা ঘটার আগে এই ঘটনার কথা আমাদের মনেই পড়বে না।

বাংলাদেশ দলের খেলোয়ারেরা মনে হয় সেঞ্চুরি করতে ভুলে গেছে। পর পর এতগুলি নার্ভাস নাইটিজ দেখে নিজেরই নার্ভাস লাগছে। তবে দেশের ক্রিকেট যে এতটা উন্নতি করবে তা মাত্র ৫ বছর আগেও আমি ভাবতেই পারি নি। সাবাস বাংলাদেশ!!!

মন মেজাজ পুরাই বিলা। ফাও ফাও ঝাড়ছে স্যাররা। তার উপর না না ধরনের আলগা প্যাড়া দেয়াও অব্যাহত রয়েছে। এরা নিজেদেরকে কি ভাবে আর আমাদেরকেই বা কি ভাবে? কারো উপর পুরো রাগ ঝাড়তে পারলে কলিজা শীতল হতো।

আমি স্কুলে থাকার সময় একটা কথা খুব প্রচলিত ছিল, ঢাকা শহরে কাক আর কবির সংখ্যা সমান। কলেজে এসে দেখলাম এই কথায় কিছুটা মডিফিকেশন এসেছে। কবির যায়গা দখল করে নিয়েছে বিবিএ স্টুডেন্ট। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন ঘটনায় মনে হচ্ছে সারা বাংলাদেশে কাউয়ার ছেড়ে ছাগুর সংখ্যা ঢেড় বেশি।