08 December, 2012
সাবাশ বাংলাদেশ!!! সাবাশ বাংলাদেশের ক্রিকেট!!! সাবাশ বাংলাদেশের মানুষ!!!
বিজয়ের মাসে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে। টানা দুই ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশ যে এভাবে ঘুরে দাড়াবে তা ভাবতেই পারি নি। বাংলাদেশের ক্রিকেট যে দিন দিন উন্নতি করছে তা চাক্ষুষ হচ্ছে। আমরা আগামী দুই বিশ্বকাপের মধ্যেই কাপটা ঘরে আনবো।
আমাদের ছেলেরা করে দেখিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত দল যে দলের ১০ জন ব্যাটসম্যান, সে দলকে কিভাবে কম রানে বেধে ফেলা যায়, যে দল সবেমাত্র আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-২০'র কাপ ঘরে তুলেছে, তাদের কাছ থেকে কিভাবে কাপ ছিনিয়ে নিতে হয়। সাকিব দলে নেই বলে যে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল সিরিজ শুরুর আগে, সেটা দূর করে দিয়েছে টাইগাররা। প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশ দলের প্রত্যেকটি খেলোয়ার এক একটা সাকিব। যারা বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কটুকথা বলেছে, বিশেষ করে গাধার বাচ্চা নভোজাত সিং সিধু আর বান্দর শেবাগ, তাদের মুছে চুন-কালি দিয়েছে টাইগাররা। সাবাশ টাইগারস!
শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে নাটকটা করল সেটা না করলেও পারতো। ওরা রান নেয়নি ঠিক আছে, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াররা স্ট্যাম্প তুলে কি প্রমান করতে চাইলো। শুধু বাংলাদেশের খেলোয়াররা বলে ম্যাচ শেষে ওদের সাথে হাত মিলিয়েছে। অন্য কোন টিমের খেলোয়াররা হলে সনে হয় না হাত মেলাত। ইলিয়াস সানির কান্ডটা দেখে ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপে ল্যান্স ক্লুজনারের কথা বার বার মনে পড়ছে। কাজের কাজ আগে না করে আনন্দে লাফালাফি বেশি করলে পরিনতি হনে হয় এমনি হয়। তবে যে যাই বলুক না কেন, এই ঘটনার কারনে আমি ইলিয়াস সানির ফ্যান হয়ে গেলাম। বাংলাদেশের সিরিজ জেতার আনন্দ কিছুটা হলেও কম হতো, যদি সানি এই কাজটা না করতো।
এই প্রথম একটা ম্যাচে না ভুল বললাম, একটা সিরিজে আগাগোড়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে ভাল খেলতে দেখলাম। আশা করি রিয়াদ ভবিষ্যতে আর কখনোই আমাদেরকে হতাশ করবে না।
শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি বাংলাদেশ ম্যাচ জেতার সাথে সাথেই জাতীয় পতাকা নিয়ে যে শিশুসুলভ উচ্ছাস দেখিয়েছেন, তা দেখে আমি মুগ্ধ। দেশের প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে এমন অনুভূতি থাকা প্রয়োজন। এছাড়া জিল্লু চাচার ছেলে পাপনের সদা হাস্যোজ্বল মুখটাও বার বার মনে পড়ছে।
আবার বলি, সাবাশ বাংলাদেশ!!!