12 December, 2012
একটা কথা খুব প্রচলিত টিমওয়ার্কের ক্ষেত্রে-
A 'jelled' team is a team functioning smoothly – like a well-oiled machine.
কিন্তু স্টুডেন্ট প্রজেক্টের ক্ষেত্রে এটা বেশিরভাগ সময়ই কার্যকর হয় না। একটা টিম যখন কাজ করে তখন নানা ধরনের সমস্যা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কাজ করতে করতেই এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।
যখন কোন টিমমেট টিমে সমস্যা সৃষ্টি করে , ধরে নিতে হবে এটা সে ইচ্ছাকৃতভাবে করে নি। এছাড়া দলের সবাইকে তার ব্যাপারে সচেতন করে হবে। এবং তাকেও জানিয়ে দিতে হবে, তার আচরন দলে সমস্যার সৃষ্টি করছে। চুপ করে থাকা কখনোই সমস্যার সমাধান করবে না, বরং সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলবে। আসলে এ পর্বটা লেখা হচ্ছে সমস্যা সৃষ্টিকারী টিমমেম্বারদেরকে কিভাবে সামলাতে হয় তা নিয়ে। আসলে একটা টিমের সমস্যা কখনো শেষ হয় না, আর সমস্যার সাধারনত কোন ধরনও নেই। বেশিরভাগ টিমের সমস্যাই এড-হক সমস্যা। তবুও আমি কমন সমস্যাগুলোর কথা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
সমস্যা: টিম মেম্বার যদি টিমের সবকিছুতে নাক গলায়, দলের নেতা হিসেবে জাহির হয়। সোজা বাংলায় আমরা যাকে বলি ভাব নেয়া।
সমাধান: এটা আসলে মেনে নেয়া খুব কষ্টকর। প্রত্যেকটা সদস্যদকেই দলে দায়িত্ব পালন করতে হয়, কেউ যদি অন্যেক কাজের ক্রেডিট নিজে নিয়ে নেয়, তাহলে অন্যজন কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে টিম লিডারের উচিৎ সরাসরি তাকে জানানো। আর সে নিজেই যদি টিম লিডার হয়, তাহলে তাকে পরবর্তী মাইলস্টোনের সময় লিডারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া।
সমস্যা: আরেকটা কমন সমস্যা হচ্ছে সাফারিং জিনিয়াস সিন্ড্রম। দলের অন্য সবার চেয়ে নিজেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবা এই সমস্যার সৃষ্টি করে।
সমাধান: টিমওয়ার্ক একটা প্রজেক্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের সমস্যা যদি টিমের কারো মধ্যে থাকে তাহলে সেখানে কাজ করা খুবই সমস্যার। টিম লিডারের উচিৎ ঐ ব্যক্তিকে সরাসরি জানানো। এতে করে তার মোহভঙ্গ হবে।
সমস্যা: টিমের মেম্বার অত্যন্ত ব্যস্ত। সে তার অন্যান্য কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত, তাই প্রজেক্টের কাজে সময় দিতে পারে না।
সমাধান: সত্যিকারের সমস্যা একজনের থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে দলের সবার উচিৎ তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করা। তার সমস্যা যদি তার নিজের সৃষ্ট হয়, তাহলে তাকে এ ব্যাপারে সাবধান করে দেয়া দলনেতার দায়িত্ব।
সমস্যা: টিমের মেম্বার অত্যন্ত ব্যস্ত। সে তার অন্যান্য কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত, তাই প্রজেক্টের কাজে সময় দিতে পারে না। পারসোনাল এফেয়ার প্রব্লেম একটা কমন সমস্যা। আত্মীয় মারা গেছে, টিম মেম্বার অসুস্থ, গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের সাথে মনোমালিন্য... এই ধরনের সমস্যা।
সমাধান: সমস্যা মানুষের থাকবেই। সমস্যা পাশ কাটিয়েই কাজ করতে হবে। টিম মেম্বারকে মানসিক সাপোর্ট দেয়া, পাশাপাশি তাকে কাজে মনোনিবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব দলের সকলকেই নিতে হবে।
সমস্যা: টিমের মেম্বার অত্যন্ত ব্যস্ত। সে তার অন্যান্য কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত, তাই প্রজেক্টের কাজে সময় দিতে পারে না। টিম লিডার নিজের কাজ নিয়েই পড়ে থাকে। টিম লিডারের দায়িত্ব পালন করে না।
সমাধান: কিছু লোক নেতা হওয়ার জন্য আসে নি। তার উপর জোড় করে দলনেতার দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া উচিৎ না। এতে দলের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি তার ব্যক্তিগত পারফরমেন্সেও ব্যঘাত ঘটে।
সমস্যা: টিমের মেম্বার অত্যন্ত ব্যস্ত। সে তার অন্যান্য কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত, তাই প্রজেক্টের কাজে সময় দিতে পারে না। টিম মেম্বার স্কীলড না, দূর্বল। সে তার কাজ ঠিকমত করতে পারছে না।
সমাধান: একটা টিমে কখনোই সবাই একরকম হয় না। যে দূর্বল তাকে কঠিন কাজ দেয়া উচিৎ না। তার সামর্থ্যের মধ্যে কাজ দিতে হবে। এছাড়া দলের স্কীলড মেম্বারদের উচিৎ তাকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা।
এছাড়াও আরো কিছু সমস্যা থাকে যেমন- টিম মেম্বারের প্রজেক্টের প্রতি আগ্রহ নেই, টিম মিটিংয়ে সে কোন মন্তব্য করে না ইত্যাদি। আসলে এ ধরেনের সমস্যার কোন ধরাবাধা সমাধান নেই। দলের সবার সাথে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।